জাতীয় নাগরিক পার্টি কি পুরনো রাজনীতির ছায়াতেই হাঁটছে?
রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি। এরই মধ্যে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলের একজন যুগ্ম সদস্য সচিবকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়েছে।
গত বছর পাঠ্যবই ছাপানোর কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এবং জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে সোমবার রাতে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এছাড়া গত মার্চে এনসিপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সারজিস আলম নিজ এলাকায় বিশাল গাড়িবহর নিয়ে শোডাউনের মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন। চলতি এপ্রিলেই দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের সাক্ষাৎ নিয়েও রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় এনসিপির নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগও সামনে আসছে। এই প্রসঙ্গে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির উপাদান আমাদের ভেতরেও ঢোকার চেষ্টা করছে। তবে আমরা সেটিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনছি।”
এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিলাসী জীবনযাপন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং সম্ভাব্য দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের নেতাকর্মীরা। যদিও নাম সরাসরি উল্লেখ না করা হলেও আলোচনায় উঠে আসে সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন নেতার কর্মকাণ্ড।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—গুণগত রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রা শুরু করা একটি নতুন দল এত দ্রুতই কীভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতি করতে হলে প্রয়োজন পরিপক্বতা, সহনশীলতা এবং কৌশলগত দক্ষতা—যার অভাব অনেক নতুন নেতার মধ্যেই স্পষ্ট। সেই কারণেই শুরুতেই এনসিপিকে ঘিরে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা সামনে আসছে।
https://www.profitableratecpm.com/wiiskdfpzz?key=05364b43319e469153c6fbd35084d89c
0 Comments